নিজের একটি স্থায়ী ঠিকানার স্বপ্ন আমরা প্রায় সবাই দেখি। সে কারণেই ঢাকা শহরে আবাসিক সম্পত্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই ধারায় সঞ্চয় খরচ করে ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে শহরবাসী ফ্ল্যাট মালিক হওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে, ফ্ল্যাট ক্রয় করা শুধুমাত্র একটি আর্থিক বিনিয়োগ নয়, বরং এর চেয়েও অনেক বেশি। তাই আপনার অর্থ, আপনার বিনিয়োগ এবং আপনার পারিবারিক পরিকল্পনা যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।
কোন এলাকায় ফ্ল্যাট কিনবেন তা সঠিক ভাবে নির্বাচন করা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও আশেপাশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বাজারঘাট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান আছে কিনা সেটা যাচাই করে নেবেন। তবে শুধু পারিপার্শিকতা ও যাতায়ত নয়, ব্যক্তিগত সকল চাহিদার সমাধান করবে এমন জায়গা আপনার বিবেচনা করা প্রয়োজন।
এসকল প্রাথমিক চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত সহজেই চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব তবে যেসকল বিষয় দেখে নেয়া প্রচন্ড কষ্টসাধ্য ব্যাপার সেসকল বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
একজন সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল বাড়ির অর্থায়ন, ডেভেলপার কোম্পানির সময় মতো ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ায় অনিশ্চয়তা এবং ক্রেতাদের নানান রকম ভোগান্তির শিকার হওয়া। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন চলেই আসে যে ফ্ল্যাট কিনবেন নাকি ঝামেলা কিনবেন?
কয়েক দশক ধরে এই সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও, খুব কমই কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, এবং সময়মতো ফ্ল্যাট বুঝে না পাওয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রেতাদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ।
এছাড়া বাকি অভিযোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে বাড়ির গুণগত মান, ফ্ল্যাট বিক্রির পর বাড়ির নকশার পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা, টাকা লেনদেনে অস্বচ্ছতা এবং ডেভেলপার কোম্পানির দুর্নীতি।
নির্মাণের গুণগত মান
কিছু ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় যে ডেভেলপার কোম্পানি গুলো তাদের মুনাফা বৃদ্ধির স্বার্থে নির্মাণ কাজে অনিয়ম করে থাকে। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার, অদক্ষ শ্রমিক দ্বারা নির্মাণ কাজ পরিচালনা এবং তত্ত্বাবধায়নে ঘাটতির কারণে বাড়ি গুলোয় গঠনগত নিরাপত্তার প্রশ্ন চলেই আসে সেই সাথে নির্মাণ পরবর্তী রক্ষনাবেক্ষনের খরচও বেড়ে যায়।
কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা
ফ্ল্যাট বুঝে পাবার সময় থেকেই শুরু হয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা, কিছু কোম্পানি ক্রেতাদের কাছে খুব কঠিন ভাবে সরকারি নীতিমালা গুলো উপস্থাপন করে এবং পরবর্তীতে তারা অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে।
নকশার পরিবর্তন
তারপর নকশার পরিবর্তন, ক্ষেত্র বিশেষে আরও দেখা যায় যে যেসকল সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতি করা হয় নির্মাণ পরবর্তীতে তা আর দেখা যায়না। ফ্ল্যাট বিক্রি করার সময় পরিকল্পনায় দেখা গেলেও প্রস্তুত হবার পর ক্রেতারা তা আর খুঁজে পাননা যা ক্রেতাদের জন্যে হয়ে দাঁড়ায় আজীবনের আক্ষেপ।
লেনদেনে অস্বচ্ছতা
তারপর চলে আসে টাকা লেনদেনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ, গ্রাহক কর্তৃক অভিযুক্ত কোম্পানি গুলো টাকা ব্যয় করার খাত সম্পর্কে ক্রেতাদের অবগত করেন না তাই ক্রেতারা অনেক ক্ষেত্রেই জানেন না যে সরকার কেন এত টাকা নিচ্ছে বা আসলেই কি এসকল ব্যয় সরকারি কাগজপত্রের খাতে হচ্ছে কিনা। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে এরকম অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের যার কারণে পরবর্তীতে ক্রেতাদের ঝামেলায় পড়তে হয়।
এসকল সমস্যা ও অভিযোগ নিরসনে, এবং ক্রেতাদের ভোগান্তিহীন ভাবে ফ্ল্যাট মালিক হবার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা প্রপার্টি। ফ্ল্যাট ক্রেতাদের মাঝে ওয়ান স্টপ সল্যুশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা প্রপার্টি ডট কম, শুধু ফ্ল্যাট কেনার ও বিক্রির ক্ষেত্রেই নয় বরং ভাড়া দেয়া এবং ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের সেরা অনলাইন সেবা প্রদান করে থাকে।
ঢাকা প্রপার্টির রয়েছে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট, আবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং রিয়েল এস্টেট এর প্রয়োজনীয় সকল বিভাগের জন্য নিবেদিত টিম। যারা গ্রাহকদের হয়ে প্রপার্টি সন্ধান, প্রপার্টির গঠনগত মান যাচাই, দলিল ও কাগজপত্র যাচাই এবং ফ্ল্যাট ক্রয় বিক্রয়ের যাত্রায় পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। ঢাকা প্রপার্টির লক্ষ্য হল বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট মার্কেটকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত করে সম্পত্তি বা ফ্ল্যাট ক্রয় এবং বিক্রয়ের যাত্রায় সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা।
ফ্ল্যাট কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ যা খুব সতর্কতার সাথে বিবেচনা এবং পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বিবেচ্য বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করে এবং যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে, আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার বিনিয়োগ এবং আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাট সুরক্ষিত থাকবে।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি ফ্ল্যাট কিনবেন না ঝামেলা কিনবেন? এক দিকে আকাশ সমান ঝামেলা অপর দিকে আপনার সেবায় নিবেদিত ঢাকা প্রপার্টির দক্ষ টিমের সহযোগিতা।